Home Bengali সূরা ১ | ফাতিহা (সূচনা)

সূরা ১ | ফাতিহা (সূচনা)

0

সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা) কুরআনের প্রথম সূরা, সাতটি আয়াত নিয়ে আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা দেয়। এটি বিশ্বাসীদের আধ্যাত্মিক শান্তি, আল্লাহর সঙ্গে গভীর সংযোগ এবং সৎ পথে পরিচালনার জন্য পথপ্রদর্শক। পাঠ করুন এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করুন।”

সূরা ১ ফাতিহা (সূচনা)

সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা)

ভূমিকা

সূরা আল-ফাতিহা কুরআনের প্রথম অধ্যায়, সাতটি আয়াত নিয়ে গঠিত। ই একটি মক্কার সূরা যা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর মিশনের শুরুতে অবতীর্ণ হয়েছিল। সূরা আল ফাতিহা এটি একটি গভীর অধ্যায় যা বিশ্বাসীদের আধ্যাত্মিক যাত্রার ভিত্তি স্থাপন করে। 

সূরা আল-ফাতিহা (সূচনা): পাঠ

  1. পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে।
  2. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক এবং পালনকর্তা;
  3. পরম করুণাময়, পরম দয়ালু;
  4. বিচার দিবসের একমাত্র বিচারক।
  5. আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই সাহায্য চাই।
  6. আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
  7. তাদের পথ যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ করেছ, তাদের পথে নয়, যাদের উপর তোমার ক্রোধ অবতীর্ণ হয়েছে, আর তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।”

মন্তব্য

সূরা আল-ফাতিহা (Al-Fatiha) কুরআনের শিক্ষার সারমর্ম। ই  আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া, তাঁর নির্দেশনা চাওয়া এবং সৎ পথে পরিচালিত করার প্রার্থনা । সূরা আল-ফাতিহা কেবল একটি প্রার্থনা নয় বরং জীবনের জন্য একটি পথনির্দেশিকা, যা বিশ্বাসী ও আল্লাহর মধ্যে গভীর সংযোগ স্থাপন করে। সূরাটি ‘উম্ম আল-কিতাব’ (বইয়ের মা), ‘আশ-শিফা’ (নিরাময়) এবং ‘আল-হামদ’ (প্রশংসা) সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত । সূরাটি উপাসনা, নির্দেশনা এবং আল্লাহর উপর নির্ভরতার সারমর্মকে অন্তর্ভুক্ত করে। 0 0 0

 

সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা):প্রশ্নোত্তর

Q1: সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা) কী?
উঃ সূরা ১ কুরআনের প্রথম অধ্যায়, যা সাতটি আয়াত নিয়ে গঠিত। এটি মক্কায় অবতীর্ণ এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মিশনের প্রারম্ভিক সময়ে পাঠ করা হয়।

Q2: সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা) কে কোন বিশেষ নামে ডাকা হয়?
উঃ ‘উম্ম আল-কিতাব’ (বইয়ের মা), ‘আশ-শিফা’ (নিরাময়) এবং ‘আল-হামদ’ (প্রশংসা) নামে পরিচিত।

Q3: সূরা ১ এর মূল উদ্দেশ্য কী?
উঃ  বিশ্বাসীদের আধ্যাত্মিক যাত্রার ভিত্তি স্থাপন করে। এটি আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করা, নির্দেশনা চাওয়া এবং সৎ পথে পরিচালনার প্রার্থনা প্রকাশ করে।

Q4: সূরা ১ এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব কী?
উঃ বিশ্বাসীদের আল্লাহর সঙ্গে গভীর সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

Q5: সূরা ১: আল ফাতিহা  পড়ার সঠিক সময় কী?
উঃ প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পড়া হয় এবং এটি প্রতিটি মুসলিমের দৈনন্দিন আধ্যাত্মিক চর্চার একটি অংশ।

Q6: সূরা ১ এর পাঠ কিভাবে শুরু হয়?
উঃ শুরু হয় “পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে” দিয়ে, যা আল্লাহর করুণা ও দয়া স্মরণ করায়।

Q7: সূরা ১ কেন কুরআনের মূলসূত্র বলা হয়?
উঃ সূরা ১ কুরআনের সারমর্ম প্রকাশ করে। এটি উপাসনা, নির্দেশনা এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরতার মূল ধারণা অন্তর্ভুক্ত করে।

Q8: সূরা ১ কে কতটি আয়াত নিয়ে গঠিত?
উঃ সূরা ১ সাতটি আয়াত নিয়ে গঠিত।

Q9: সূরা ১এর শেষ আয়াতের অর্থ কী?
উঃ এর শেষ আয়াতে প্রার্থনা করা হয় সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য, যেন আমরা তাদের পথ অনুসরণ করি যাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ অবতীর্ণ হয়েছে, এবং যারা পথভ্রষ্ট নয়।

Q10: সূরা ১ কোন ধরনের প্রার্থনা হিসেবে পরিচিত?
উঃ আল্লাহর নির্দেশনা চাওয়া, তাঁর সাহায্য কামনা এবং জীবনের সৎ পথে পরিচালনার জন্য এক পূর্ণাঙ্গ প্রার্থনা হিসেবে পরিচিত।

Q11: সূরা ১এর পাঠ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উঃ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নামাজের প্রতিটি রাকাতে অপরিহার্য এবং জীবনের আধ্যাত্মিক দিক উন্নয়নে সহায়ক।

Q12: সূরা ১ কে ‘নিরাময় সূরা’ কেন বলা হয়?
উঃ সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা) কে ‘আশ-শিফা’ অর্থাৎ নিরাময় বলা হয়, কারণ এটি বিশ্বাসীর মন ও আত্মাকে শান্তি দেয় এবং আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে।

Q13: সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা) কে জীবনের পথনির্দেশিকা কেন বলা হয়?
উঃ সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা) জীবনের সৎ পথে পরিচালনার প্রার্থনা প্রকাশ করে এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণের গুরুত্ব তুলে ধরে।

Q14: সূরা ১ কে কুরআনের প্রথম সূরা হওয়ার বিশেষত্ব কী?
উঃ সূরা ১: আল ফাতিহা (সূচনা) কুরআনের প্রথম সূরা হওয়ায় এটি প্রতিটি মুসলিমের আধ্যাত্মিক যাত্রার প্রারম্ভিক দিক নির্দেশ করে এবং নামাজের মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

Q15: সূরা ১ পড়ার মাধ্যমে কী অর্জিত হয়?
উঃ সূরা ১ পড়ার মাধ্যমে বিশ্বাসী আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ, আধ্যাত্মিক শান্তি, সৎ পথে পরিচালনা এবং আল্লাহর সঙ্গে গভীর সংযোগ অর্জন করতে পারে।